এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ স্বরূপকাঠি পৌরসভার নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা প্রায় শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছে। আর মাত্র ৩দিন বাকী স্বরূপকাঠি পৌরসভার নির্বাচনের। টান টান উত্তেজনার অবসান হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারীর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। সকল জল্পনা ও কল্পনাকে হার মানাতে যাচ্ছে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে মোঃ আবুল কালাম আজাদ। নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নেমে দুর্বার গতিতে সকলের সুনজরে রয়েছে।সাধারণ ভোটাররা সকল মেয়র প্রার্থী সহ কাউন্সিল ও সংরক্ষিত নারী আসনের মহিলা কাউন্সিলদের প্রচার প্রচারণা ও বিগত সময়ের কাজ কর্মের হিসাব নিকাশ মেলানোর চেষ্টায় মত্ত ছিলো। শেষ সময়ে সকল হিসাব নিকাশ মেলানোর অবসান হতে যাচ্ছে ৩০ জানুয়ারী। পৌর সভার সন্মানিত বেশির ভাগ ভোটারা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান,অবাধ ও নিরেপক্ষ ভোট হলে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদের গণ জোয়ার সর্বত্র।স্থানীয় সরকারের সুদৃষ্টির ছাপ স্পষ্ট ভাবে সত্যের পথে থাকলে নীতি ও আদর্শের বিজয় হবে বলে পৌর সভার সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান। এদিকে গত সোমবার উপজেলা অডিটোরিয়াম মিলনায়তন কক্ষে নির্বাচন নিয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন সহ জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা ডিসি ও উপজেলার সকল শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। এসময়ে স্বরূপকাঠী পৌর সভার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল মেয়র প্রার্থীরা, কাউন্সিলর প্রার্থীরা ও সংরক্ষিত নারী আসনের মহিলা কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন। চূড়ান্ত আলোচনায় সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রেখে নির্বাচনের। সকলের প্রাণের দাবী সহ নৈতিক অধিকার আদায়ের পাশাপাশি গঠন মূলত স্পষ্ট ভাষায় কঠিন কথাও বলেছেন। এদিকে সব কিছু ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হলে পৌর নির্বাচনে একটা চমৎকার ইতিহাস সৃষ্টি হবে এবারের পৌর নির্বাচনে। স্বরূপকাঠি পৌরসভার নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৫০০০। সব কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকলে ১নং, ২ নং ওয়ার্ডে নারিকেল গাছ প্রতিক ভোট পাবে প্রায় ২০%। আবার ৩নং ও ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ভোট পাবে প্রায় ২৫%। অবশ্য ৫নং, ৬নং, ৭নং, ৮ নং ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যে গড়ে ৬০% ভোট পাবেন বলে জনমত জরিপ অনুযায়ী মনে করা হয়। তবে ৭নং, ৮নং ও ৯ নং ওয়ার্ডের মানুষ শান্তি প্রিয় ও সময়ের সাহসী, ন্যায় বিচারক হিসেবে মেয়র পদে আবুল কালাম আজাদ কে এক চেটিয়ে ভোট দিবেন। তবে ৪ নং, ৫নং, ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ড বি এন পি র শক্ত অবস্থান। অপর দিকে পৌর সভার ১নং, ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোবাইল সেট প্রতিক নিয়ে সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুর রহমান খান সবচেয়ে এগিয়ে। তবে ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যে ৬০% ভোট ধানের শীষের প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ পাবেন বলে ভোটাররা জানান। বাকী ভোট স্বরূপকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শিশির কর্মকার, সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুর রহমান খান ও নৌকা প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী মোঃ গোলাম কবির। তবে জাপা প্রার্থীর পক্ষে ভোট না পড়ার সম্ভাবনা আছে। অবশ্য ৭নং ওয়ার্ডের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ভালো ভোট পাবেন। তবে এই ওয়ার্ডে ধানের শীষ ও নৌকাকে হার মানাবে জগ মার্কা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী শিশির কর্মকার। এদিকে পৌর ভোটাররা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, স্বরূপকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শিশির কর্মকার ৭নং ওয়ার্ড ও ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে নৌকার প্রতিকের মেয়র প্রার্থী গোলাম কবিরের নিজ ওয়ার্ডের মধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুর রহমান খান। যেখানে নৌকার পাল্লা ভারী আর সেখানেই মোবাইল সেট প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী মোঃ মাহমুদুর রহমান খানের ভোট চ্যালেঞ্জ। সব মিলিয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হলে প্রথম হওয়ার সম্ভাবনা নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। আর দ্বিতীয় স্থান নিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে হয়তো ধানের শীষের প্রতিক কিংবা মোবাইল সেট প্রতিক। কোন অঘটন না ঘটালে নিশ্চিত বিজয়ের হাসি হাসতে পারে নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে মেয়র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ।আর সেই অপেক্ষায় বসে আছে চূড়ান্ত ভাবে ভোট গণনার পর। এ ব্যাপারে কথা হয় সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদের সাথে।তিনি অকপটে বলেন আগে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রেখে নির্বাচন হোক। আর কোন রকম দুর্নীতি না হলে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। সাধারণ ভোটাররা আমাকে যোগ্য মনে করেন এবং মন দিয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালো বাসেন। আমি মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে নির্বাচন করে যাচ্ছি সকলের আর্শীবাদ নিয়ে।
Leave a Reply